আমিরাতে অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সু্যোগ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সময়সীমা আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে। গত আগস্ট মাস থেকে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শুরু হলেও, দ্বিতীয় ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

আমিরাতের জাতীয় দিবস (২ ডিসেম্বর) উপলক্ষে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধ হওয়ার জন্য আবারো আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন এবং এর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে অবৈধ প্রবাসীদের দেশটিতে বৈধ হওয়ার সময়সীমা ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

আমিরাত সরকার আবেদনকারীদের তাদের অবস্থান পরিবর্তন এবং ইউএইতে চাকরি করার আরো একটি সুযোগ দিতে চান। শারজাহ ইমিগ্রেশনের একজন কর্মকর্তা খালিজ টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউএইজুড়ে ইমিগ্রেশন সেন্টার ইতোমধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। যারা আগেই আবেদন করেছিলেন, তাদের কাজ আগে শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কূটনৈতিক মিশনগুলি জানিয়েছে, তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং এ মেয়াদ বাড়ানোয় অনেক অবৈধ প্রবাসীরা এখনও তাদের অবস্থা সংশোধন করতে আরো একটু সময় পাবে।

এদিকে, আমিরাত সরকারের এমন ঘোষণার পর বাংলাদেশিদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। হাসিম নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আমিরাত সরকার বৈধ হওয়ার জন্য আরও একমাস সময় বাড়িয়েছে। বহু বাংলাদেশি আমিরাতে বৈধ হয়ে থাকতে চায়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় তারা দেশটিতে অবৈধ হয়ে গিয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রায় সাত শতাধিক প্রবাসীর দেশ থেকে পাসপোর্ট ইস্যু না হওয়ায় হতাশ ছিলেন। তবে, আমিরাত সরকারের এমন ঘোষণায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি তারা অনুরোধ করেছেন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা পাসপোর্টের বিষয়টি সমাধান করেন।

এদিকে, বাড়ানো সময় কাজে লাগিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে প্রবাসে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে সব অবৈধ প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাস। মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় এই শ্রমবাজারে প্রায় ছয় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের অনেকে নানা কারণে দেশটিতে অবৈধ হয়ে গিয়েছিলেন। যার বড় একটি কারণ হলো পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া।